
অনলাইন ডেস্ক
২০১৪ সালের ঠিক এই সময়ই বাউন্সার সামলাতে গিয়ে তরুণ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের মৃত্যু নাড়া দিয়েছিল সবাইকেই।অসময়ের হিউজের মৃত্যু সবচেয়ে বেশি বোধহয় ছুঁয়ে গিয়েছিল নিজ দেশের ক্রিকেটারদেরই।
তেমনি মিচেল জনসনকেও বদলে দিয়েছিল হিউজের অকাল মৃত্যু। ফাস্ট বোলার হিসেবে একটা সময় যেখানে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের দিকে বাউন্সার দিয়ে তৃপ্ত হতেন জনসন, হিউজের মৃত্যুর পর সেই তৃপ্তিটাই পরিণত হল আতঙ্কে।
ব্যাপারটা স্বীকার করে জনসন বলেন, ফিলের মৃত্যু আমাকে দুঃখ ও বেদনাবোধে ভারাক্রান্ত করে। তার মৃত্যু গোটা বিশ্বেই ক্রিকেটারদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। ওর মৃত্যু কিন্তু ক্রিকেট খেলার ধরনে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এনেছে।
প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর পর থমকে গিয়েছিলেন জনসন। ক্রিকেট বলের দিকে তাকালেই এক ধরনের আতঙ্কবোধ কাজ করত তার মনে। মনে হতো, এমনই একটি বলের আঘাতেই তো ফিল ওপারে চলে গেছে। প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক ফাস্ট বোলার হয়েও বোলিংয়ের ধরনে পরিবর্তন এনেছিলেন। বলে গতিও কমিয়ে দিয়েছিলেন। মাঝে-মধ্যে অভ্যাসবশত দুই-একটা শর্ট পিচ বল হয়ে গেলেই প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের জন্য মায়া অনুভব করতেন। ভাবতেন, সে হয়তো আমার প্রতিপক্ষ। কিন্তু ওর তো একটা পরিবার আছে। পরিবারের সবাই হয়তো সারাক্ষণ তাকিয়ে আছে ওর দিকে। জনসন বলেন, আমি ব্যাটসম্যানদের শরীরে যে দুই-একবার বল লাগিয়েছি। তাতে আমার ওদের প্রতি মায়া লেগেছে। ওদের পরিবারের কথা মনে হয়েছে। চিন্তা করেছি, শরীরে বল লাগিয়ে আমি মোটেও ঠিক কাজ করছি না। এটা কখনোই ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপূরক নয়।
পাঠকের মতামত